শনিবার ০৩ মে ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

dead body and electric furnace

কলকাতা | ১৯ বছর বয়সেই ডোমের কাজে! বাবার মৃত্যুর পর সংসার সামলাতে কী করলেন বারুইপুরের টুম্পা

Rajat Bose | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৬ : ১২Rajat Bose


তীর্থঙ্কর দাস:‌ সবকিছুর শেষ সেখানে তা হল শ্মশান। প্রত্যেকের জীবনের অন্তিম গন্তব্য শ্মশান। শ্মশানে জমিনের কথা আমরা প্রত্যেকে শুনেছি। কিন্তু আজ যার কথা আপনাদের শোনাবো সেই ডোম বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। পুরো শ্মশানে মানুষ বলতে এক জন। নাম নথিভুক্ত করা থেকে শুরু করে চুল্লিতে ঢোকানো পর্যন্ত সবটাই নিজ দায়িত্বে পালন করে আসছে বারুইপুরের এই তরুণী। বারুইপুরের বাসিন্দা টুম্পা দাস (‌২৯)‌।

 


গত ১০ বছর ধরে বারুইপুরের পঞ্চায়েত এলাকা পুরন্দরপুর মহাশ্মশানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। কল্যাণপুর পঞ্চায়েত অঞ্চলের পুরন্দরপুর এলাকার পাশেই তাঁর বাড়ি। বাড়িতে রয়েছে ছোট বোন, মা এবং ভাই। বাবার মৃত্যুর পর শ্মশানে ডোমের কাজ নির্দ্বিধায় নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। ১৯ বছর বয়স থেকে ডোমের কাজ করে চলেছে এই তরুণী। এটা ঘটনা ডোমের কাজে আমরা সাধারণত পুরুষদের দেখতে পাই, তাহলে কেন টুম্পা? উত্তরে জানান ২০১৪ সালের হঠাৎ করে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। বড় মেয়ে হিসেবে তার কাঁধে সংসার সামলানোর গুরুদায়িত্ব এসে পড়েছিল। তাই কিছু না ভেবেই বাবার চাকরিতেই যোগ দেয় টুম্পা। পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় দশ বছর। কোনও ভয়ভীতি ছাড়াই নিজের কর্তব্যে অবিচল টুম্পা। সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অগণিত দেহ সৎকার করেন তিনি। প্রথমে নাম নথিভুক্ত। তারপর চুল্লিতে দেহ ঢুকানো সমস্তটাই সাড়ে তিন হাজার টাকার মাসিক বেতনে তিনি করছেন। এখন অবশ্য ৫ হাজার টাকা বেতন পান। ২০১৯ সালে শ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি বসেছে। তার আগে কাঠের চুল্লিতেই শেষকৃত্য করা হত। 


টুম্পা জানায়, তিনি নিজেও কোনওদিন ভাবতে পারেননি এই কাজ তিনি করতে পারবেন। কিন্তু পরিস্থিতি এবং সময় তার ভাবনা বদলে দিয়েছে। ওখানে ১২ ঘন্টা থাকতে ভয় লাগার কথা শুনে টুম্পা মৃদু হেসে বলেন, ‘‌মরা মানুষের থেকে জীবিত মানুষের ভয় বেশি। প্রথমে ভয় লাগত কিন্তু এখন সমস্তটাই মানিয়ে নিয়েছি।’‌
মানুষের দম্ভ, অহংকার, টাকা, এমনকি গায়ের কাপড় সব কিছুই ৪৫ মিনিটে শেষ হয়ে যায়। নিজেকে শ্মশানের ভেতরেই বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করেন টুম্পা। 

বিয়ে করার প্রসঙ্গে তিনি জানান, একাধিক সম্বন্ধ এসেছে বাড়িতে। কিন্তু যখনই তারা টুম্পার কাজ সম্বন্ধে অবগত হন তখনই প্রত্যেকে পিছু পা হয়ে যায়। যদিও তাতে একদমই কষ্ট নেই টুম্পার। কারণ দিনের শেষে নিজের পরিবারকে সামলাতে পারছেন তিনি। এর থেকে বড় আর কী হতে পারে। টুম্পা গত দশ বছরে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মৃতদেহ পুড়িয়েছে। এবং হাজারো দুঃখ, কষ্ট চুপ করে নিজের চোখে দেখেছেন।

 


Aajkaalonlinedeadbodyelectricfurnace

নানান খবর

নানান খবর

জিনগত কারণেই অ্যাজমা রোগের শিকার শিশুরা নাকি রয়েছে বড় কোন কারণ? কীভাবে নিরাময় সম্ভব, জানুন বিশেষজ্ঞদের মত

আইএসসি-তে শীর্ষ স্থান অধিকার করল কলকাতার মেয়ে সৃজনী, কিন্তু তার নেই কোনও পদবি, কেন?

নিউ টাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

শহর কলকাতায় এবার একদিনের কন্যাসন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার জঞ্জালের স্তুপ থেকে! ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য

সল্টলেকে রাসায়নিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা

মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল, পাশের হার ৮৬.‌৫৬ শতাংশ

সন্ধ্যা নামতেই সদয় বরুণদেব, কলকাতায় ঝেঁপে বৃষ্টি, আগামী কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস

নিজেদের জীবন বাঁচান আগে, বড়বাজারে বাসিন্দাদের অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর

মেছুয়ায় হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হোটেল মালিক ও ম্যানেজার

শহর কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড, এবার চিনার পার্কের রেস্তরাঁয় লাগল আগুন

মেচুয়াপট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: কী জানালেন প্রত্যক্ষদর্শী?

টানা ১৯ দিন এই ডিভিশনে বাতিল থাকবে একাধিক লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন, কেন?‌ 

বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের পাশে রাজ্য, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মমতার 

মা ফ্লাইওভারে ফের দুর্ঘটনা, বেপরোয়া বাইক চালিয়ে মৃত এক

কেউ ঝাঁপ দিয়ে বাঁচতে গিয়ে, কেউ অগ্নিদগ্ধ, মেছুয়া বাজারের হোটেলে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ১৪

সোশ্যাল মিডিয়া